রাকসু কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে ছাত্রদলের ভাঙচুর, তালা

- Update Time : ০৮:১৯:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩৬ Time View
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহীর নেতৃত্বে ভাঙচুর চালিয়েছেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। শনিবার (৩১ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টার দিকে সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারকে আটকে রেখে এ ভাঙচুর ও তালা দেন তাঁরা।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে চলমান অবস্থান কর্মসূচির একপর্যায়ে এই ভাঙচুর করেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এতে রাকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ বন্ধ রয়েছে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বেলা সাড়ে ১১টা) রাকসু কার্যালয়ে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল ৯টা থেকে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ছাত্রদল। অন্যদিকে সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়। সোয়া ১০টার দিকে ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহীর নেতৃত্বে কিছু নেতাকর্মী কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে মনোনয়ন বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে বারান্দায় থাকা একটি প্লাস্টিকের চেয়ার ভেঙে ফেলেন এবং একটি টেবিল উল্টে দেন। এরপর ফটকে তালা মেরে দেন তাঁরা।
এ সময় তাঁরা ‘জিয়ার সৈনিক, এক হও লড়াই করো’, ‘প্রথম বর্ষের ভোটাধিকার, ছাত্রদলের অঙ্গীকার’, ‘আমার ভাইকে বাদ দিয়ে, রাকসুতে যাব না’, ‘রাকসু আমার অধিকার, তুমি কে বাদ দেওয়ার’, ‘ছাত্রদলের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘প্রথম বর্ষের ভোটাধিকার, দিতে হবে দিতে হবে’, ‘রাকসু ফি দিয়েছি, ভোটার হতে চেয়েছি’, ‘ডাকসু-রাকসু নির্বাচনে, প্রথম বর্ষ ভোট দেবে’, ‘প্রথম বর্ষের ভোটাধিকার, ফকির কে কেড়ে নেওয়ার’, ‘প্রথম বর্ষের ভোটাধিকার, নকিব কে কেড়ে নেওয়ার’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
ভাঙচুরের বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, আমরা কোনো ভাঙচুর করিনি। টেবিলটা শুধু সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করব।
এ সময় ছাত্রদলের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির ও রাবি শাখার সদস্য অধ্যাপক এ নাঈম ফারুকি, সহপ্রচার সম্পাদক অধ্যাপক আতাউর রহমান, রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু, সিনিয়র সহসভাপতি খালেকুজ্জামান মিজান ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল আলিমসহ অন্য নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ইসলাম, সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ, জান্নাতুল নাঈম তুহিনা, আহসান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, এম তাহের রহমান, জাহিন বিশ্বাস এষাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম বর্ষের ভোটাধিকার বিষয়ে রাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ. নজরুল ইসলাম বলেন, যখন রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন বর্তমানে প্রথম বর্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন না। এখন আর তাঁদের ভোটার করার সুযোগ নাই। তাঁরা আগামী নির্বাচনে ভোটাধিকার পাবেন।